Status Update
By শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ
Omi Rahman Pial এর এই স্ট্যাটাসটি অনেকগুলো কারণেই একটা লিজেন্ডারি স্ট্যাটাস। স্ট্যাটাসে যাওয়ার আগে একটু ভূমিকা: বিদেশে বইসা, সেই দেশী প্রভুগো কামলা খাইটা যারা বাংলাদেশে বিভিন্ন ইস্যুতে দেশে আলোচনায় থাকতে চায়, ফাপর দালালি করতে চায় একটু পাত্তা পাইতে চায়, কিছু আনলাইন চামচা ছাড়া কেউ বাল দিয়াও গুণে না, একগাদা ফেক নিক দিয়ে নিজেরাই নিজেদের উপরে উঠানোর ধান্দায় ব্যস্ত আছিলো, তাদের জন্য গণজারণমঞ্চ অনেক বড় একটি হুমকি হয়ে এসেছে। কারণ গণজাগরণ মঞ্চের তরুণেরা মাঠে নাইমা কাজ করে। নিজেদের দেশে অবস্থান করেই তারা সেটা করে, জীবনের আরাম আয়েশ ত্যাগ করে ঝুঁকি নিয়ে তারা মাঠে অবস্থান করে, এই দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বপ্নেও চিন্তা করে না। ধন্যবাদ পিয়াল ভাই, এই মোক্ষম সময়ে মিসাইলসম এই স্ট্যাটাসটি দেয়ার জন্য.............................
"গণজাগরণ মঞ্চ নিয়া মিথের শেষ নাই, মিথ্যারও। অযোগ্য, হিংসুটে এবং অপগন্ড লোকেরা কেউ নিজের গুরুত্ব বাড়াইতে কেউবা অন্যের গুরুত্ব কমাইতে শুরু থেকেই এইটা নিয়া নানা রূপকথার জন্ম দিয়া আসতেছে। এই জ্ঞানপাপীরা এইটা বুঝে না যে ইতিহাস প্রত্যেকেরই মূল্যায়ন করে তার অবস্থানের ভিত্তিতেই। এবং ভবিষ্যতের ভাবনা না ভাবা এইসব বিবেকহীন লোক স্রেফ তাৎক্ষণিক জাগতিক স্বার্থে কিসের ক্ষতি যে করতেছে তা নিজেরাও জানে না, বুঝে না, বুঝতে চায় না। তো কম গল্প আমাদের কানে আসে নাই। শাহবাগে মদ, গাজা, ফ্রি সেক্স চলে এইসব ছাগুলে স্বপ্নদোষের পাশাপাশি জানা গেলো মঞ্চের নেতারা ফাইভ স্টার হোটেলে থাকে, সেখানকার খানা খায়, এরা কোটি কোটি টাকা বানায়া ফেলছে ইতিমধ্যে, গাড়ি ফ্লাট কেনা শেষ। এবং এই অবৈধ সম্পদের উৎস চাদাবাজি, শাহবাগের নাম বিক্রি কইরা কঠিন চাদাবাজি চলতেছে। একটা ধারাবাহিক আয়োজন, তা সুষ্টভাবে সম্পন্ন করা, মাইক মঞ্চ ইত্যাদিসহ যে আনুষঙ্গিক খরচ এইগুলা সম্পর্কে তারাই জানে যাদের সেই অভিজ্ঞতা আছে এবং তাদেরই যোগ্যতা থাকে এই বিষয়ে মন্তব্য করার। সেই হিসেবে রাজনীতি জিনিসটাই চলে চাদাবাজির উপরে, জামায়াতে ইসলামীর মতো কর্পোরেট দল না সবাই। বঙ্গবন্ধুও আওয়ামী লীগ চালাইছেন, বিভিন্ন আন্দোলনের খরচ চালাইছেন ব্যবসায়ীদের থেকে চাদা নিয়া, সরকারী কিংবা বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার মাসোহারা কিংবা বাজেটে না। এক ৭ মার্চের বক্তৃতায় মাইক ও বাঁশ ভাড়াবাবদ ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বিল আসছিলো, ছাত্রনেতারা চাদাবাজি কইরাই সে বিল দিছিলো। তো যারাই গণজাগরণে চান্দা দিছে, অন্তর থিকা চোখ বন্ধ কইরা দিছে- ভাই খরচ কইরেন আপনারা বইলা। এবং তাদের কেউ আজ পর্যন্ত আমি এত টাকা দিছিলাম, সেইটাকা কই খরচ করা হইলো তা পাই পয়সা হিসাব চাই- এমন বিবৃতি দেন নাই। দিতেছে এমন লোকজন যাদের এই আন্দোলনে, যুদ্ধাপরাধীদের সুষ্ঠ বিচারে সর্বোচ্চ শাস্তির নিশ্চয়তা চাইয়া ডাকা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ পরোক্ষ কোনো প্রকার অংশগ্রহণ নাই। এদের একটা বড় অংশই বিদেশে থাকে, হয়তো সেই দেশের পাসপোর্ট এবং নাগরিকত্বও ধারণ করে, নতুন প্রভুর গীত গায়, সারাদিন সেই দেশের কামলা দেয়, তারপর নিজের আগের দেশের বদনাম করে। অ্যাকচুয়ালি দে ডোন্ট গিভ আ শিট টু হোয়াট হ্যাপেন্স টু বাংলাদেশ। আবারও বলি, ইতিহাস নির্ধারণ করে দেবে এই অবস্থানের নিয়তি। অবশ্য এদের কেউই নিজের নামে আত্মপরিচয়ে কথা বলার হ্যাডম রাখে না, এবং এটা কে না জানে চোরের মতো কাপুরুষের গলাও বড়ই হয়।
সবচেয়ে লেটেস্ট গুজবটা নিয়া বলি। মঞ্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৮ জন ব্লগার/অ্যাকটিভিস্ট/ছাত্রনেতা নাকি কানাডার ভিসা পাইয়া গেছে, কানাডায় যাওয়ার ব্যবস্থা পাকাপাকি করে ফেলছে। শিগগিরই তারা গোপনে দেশ ছাড়বে কোটি কোটি টাকা নিয়া। রটনাকারী ওগো দোষ দিমু কি! তারা ছোটথিকা শুইনা আসছে তার বাবার নাম ছলীমদ্দি, কারো কাছে কলিমুদ্দি। জারজের আবার নৈতিকতা কি, ধর্মবোধ কি আর বিবেকবোধই বা কি, আনুগত্য সে বিচার করে কাচা টাকায়। প্রবাসী একজন তো তীব্র হতাশায় বইলাই বসছেন তাদর স্বপ্নটা আবারও ভেঙ্গে গেলো।
প্রিয় প্রজন্ম, কথাগুলা মনযোগ দিয়া শুনো। এই আন্দোলন মোটেও নেতানির্ভর না, তাই আলোচিত এবং যোগ্যতাগুনেই নেতৃত্বে থাকা কয়েকজনরে বিতর্কিত কইরা তাদের পচাইয়া তাদের দূর্নীতিবাজ মাগীবাজ মাদকাসক্ত বানায়া এই আন্দোলন থামানো যাবে না। এইটার জন্ম দিছো তোমরা, চালাইছো তোমরা। নানান বিভ্রান্তি দিয়া তোমাদের কা্উরে কাউরে হয়তো প্রভাবিত করছে প্রতিবিপ্লবীরা, সরায়া নিয়া আসছে, কিন্তু প্রতিটি যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এই আগুনটা নিভবে না। এই জাগরণ থামবে না। শরীরে শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত একজন হইলেও সেখানে থাকবে। দ্য ফাইট গোজ অন টিল দ্য লাস্ট ম্যান স্ট্যান্ডিং।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় তারুণ্য
পুনশ্চ: ইউ অ্যাসহোলজ (ইউ নো হু), খুউব খিয়াল কইরা, খুউব..."
"গণজাগরণ মঞ্চ নিয়া মিথের শেষ নাই, মিথ্যারও। অযোগ্য, হিংসুটে এবং অপগন্ড লোকেরা কেউ নিজের গুরুত্ব বাড়াইতে কেউবা অন্যের গুরুত্ব কমাইতে শুরু থেকেই এইটা নিয়া নানা রূপকথার জন্ম দিয়া আসতেছে। এই জ্ঞানপাপীরা এইটা বুঝে না যে ইতিহাস প্রত্যেকেরই মূল্যায়ন করে তার অবস্থানের ভিত্তিতেই। এবং ভবিষ্যতের ভাবনা না ভাবা এইসব বিবেকহীন লোক স্রেফ তাৎক্ষণিক জাগতিক স্বার্থে কিসের ক্ষতি যে করতেছে তা নিজেরাও জানে না, বুঝে না, বুঝতে চায় না। তো কম গল্প আমাদের কানে আসে নাই। শাহবাগে মদ, গাজা, ফ্রি সেক্স চলে এইসব ছাগুলে স্বপ্নদোষের পাশাপাশি জানা গেলো মঞ্চের নেতারা ফাইভ স্টার হোটেলে থাকে, সেখানকার খানা খায়, এরা কোটি কোটি টাকা বানায়া ফেলছে ইতিমধ্যে, গাড়ি ফ্লাট কেনা শেষ। এবং এই অবৈধ সম্পদের উৎস চাদাবাজি, শাহবাগের নাম বিক্রি কইরা কঠিন চাদাবাজি চলতেছে। একটা ধারাবাহিক আয়োজন, তা সুষ্টভাবে সম্পন্ন করা, মাইক মঞ্চ ইত্যাদিসহ যে আনুষঙ্গিক খরচ এইগুলা সম্পর্কে তারাই জানে যাদের সেই অভিজ্ঞতা আছে এবং তাদেরই যোগ্যতা থাকে এই বিষয়ে মন্তব্য করার। সেই হিসেবে রাজনীতি জিনিসটাই চলে চাদাবাজির উপরে, জামায়াতে ইসলামীর মতো কর্পোরেট দল না সবাই। বঙ্গবন্ধুও আওয়ামী লীগ চালাইছেন, বিভিন্ন আন্দোলনের খরচ চালাইছেন ব্যবসায়ীদের থেকে চাদা নিয়া, সরকারী কিংবা বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার মাসোহারা কিংবা বাজেটে না। এক ৭ মার্চের বক্তৃতায় মাইক ও বাঁশ ভাড়াবাবদ ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বিল আসছিলো, ছাত্রনেতারা চাদাবাজি কইরাই সে বিল দিছিলো। তো যারাই গণজাগরণে চান্দা দিছে, অন্তর থিকা চোখ বন্ধ কইরা দিছে- ভাই খরচ কইরেন আপনারা বইলা। এবং তাদের কেউ আজ পর্যন্ত আমি এত টাকা দিছিলাম, সেইটাকা কই খরচ করা হইলো তা পাই পয়সা হিসাব চাই- এমন বিবৃতি দেন নাই। দিতেছে এমন লোকজন যাদের এই আন্দোলনে, যুদ্ধাপরাধীদের সুষ্ঠ বিচারে সর্বোচ্চ শাস্তির নিশ্চয়তা চাইয়া ডাকা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ পরোক্ষ কোনো প্রকার অংশগ্রহণ নাই। এদের একটা বড় অংশই বিদেশে থাকে, হয়তো সেই দেশের পাসপোর্ট এবং নাগরিকত্বও ধারণ করে, নতুন প্রভুর গীত গায়, সারাদিন সেই দেশের কামলা দেয়, তারপর নিজের আগের দেশের বদনাম করে। অ্যাকচুয়ালি দে ডোন্ট গিভ আ শিট টু হোয়াট হ্যাপেন্স টু বাংলাদেশ। আবারও বলি, ইতিহাস নির্ধারণ করে দেবে এই অবস্থানের নিয়তি। অবশ্য এদের কেউই নিজের নামে আত্মপরিচয়ে কথা বলার হ্যাডম রাখে না, এবং এটা কে না জানে চোরের মতো কাপুরুষের গলাও বড়ই হয়।
সবচেয়ে লেটেস্ট গুজবটা নিয়া বলি। মঞ্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৮ জন ব্লগার/অ্যাকটিভিস্ট/ছাত্রনেতা নাকি কানাডার ভিসা পাইয়া গেছে, কানাডায় যাওয়ার ব্যবস্থা পাকাপাকি করে ফেলছে। শিগগিরই তারা গোপনে দেশ ছাড়বে কোটি কোটি টাকা নিয়া। রটনাকারী ওগো দোষ দিমু কি! তারা ছোটথিকা শুইনা আসছে তার বাবার নাম ছলীমদ্দি, কারো কাছে কলিমুদ্দি। জারজের আবার নৈতিকতা কি, ধর্মবোধ কি আর বিবেকবোধই বা কি, আনুগত্য সে বিচার করে কাচা টাকায়। প্রবাসী একজন তো তীব্র হতাশায় বইলাই বসছেন তাদর স্বপ্নটা আবারও ভেঙ্গে গেলো।
প্রিয় প্রজন্ম, কথাগুলা মনযোগ দিয়া শুনো। এই আন্দোলন মোটেও নেতানির্ভর না, তাই আলোচিত এবং যোগ্যতাগুনেই নেতৃত্বে থাকা কয়েকজনরে বিতর্কিত কইরা তাদের পচাইয়া তাদের দূর্নীতিবাজ মাগীবাজ মাদকাসক্ত বানায়া এই আন্দোলন থামানো যাবে না। এইটার জন্ম দিছো তোমরা, চালাইছো তোমরা। নানান বিভ্রান্তি দিয়া তোমাদের কা্উরে কাউরে হয়তো প্রভাবিত করছে প্রতিবিপ্লবীরা, সরায়া নিয়া আসছে, কিন্তু প্রতিটি যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এই আগুনটা নিভবে না। এই জাগরণ থামবে না। শরীরে শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত একজন হইলেও সেখানে থাকবে। দ্য ফাইট গোজ অন টিল দ্য লাস্ট ম্যান স্ট্যান্ডিং।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় তারুণ্য
পুনশ্চ: ইউ অ্যাসহোলজ (ইউ নো হু), খুউব খিয়াল কইরা, খুউব..."
No comments:
Post a Comment