Friday, May 1, 2015

Bangladesh has to face more Terrorism! বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটবে- মার্কিন কংগ্রেস

Bangladesh has to face more Terrorism!

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটবে- মার্কিন কংগ্রেস

রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটবে বলে মন্তব্য করা হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় সাব-কমিটির এক শুনানিতে। বৃহস্পতিবারের এ বৈঠকে বক্তারা বলেন, 'রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের উত্থান ত্বরান্বিত হবে। ধর্মকে যারা ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে, তারা আরও জঙ্গি রূপ ধারণ করতে পারে।

তারা আরও বলেন, 'শেখ হাসিনা যে কর্তৃত্ববাদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশ শাসন করছেন তাতে যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাধা না দেয়, তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতি আরও সহিংস রূপ পাবে এবং উগ্র ইসলামী দলগুলো আরও সহজে দলভারি করতে পারবে।'

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলে 'বাংলাদেশ'স ফ্র্যাকচার: পলিটিক্যাল অ্যান্ড রিলিজিয়াস এক্সট্রিমিজম' শীর্ষক এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে পাঁচজন বক্তব্য দেন।

সাব কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান দলীয় কংগ্রেস সদস্য ম্যাট স্যালমন বলেন, 'এ অবস্থায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হবে। এর প্রধান শিকার হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তাই পরিস্থিতি উপলব্ধি করে গণতন্ত্রের স্বার্থে বাংলাদেশের প্রধান দুই দলের সংলাপে বসা উচিৎ।' শুনানির দ্বিতীয় পর্বে কয়েকজন আলোচক বাংলাদেশের সমস্যা, উন্নয়ন ও সাফল্যের বিষয়ে বক্তব্য দেন।

মার্কিন কংগ্রেসের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় সাব-কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান ম্যাট সালমন বলেন, 'এই শুনানি কোনও দেশের বিরুদ্ধে নয়। কোনও দেশের সরকারকে হেয় করার জন্য নয়। বরং একটি দেশ কীভাবে অগ্রগতি অর্জন করতে পারে সে বিষয় মার্কিন প্রশাসনের নজরে আনা।'

দুপুরে ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার এই শুনানিতে প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নেন হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের এশিয়ান স্টাডিজ সেন্টারের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো লিসা কার্টিস; ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আলী রিয়াজ; হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের সরকার সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক জে কানসারা; ইউএস-বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড রিলেশন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট স্টিভেন ডি ফ্লিশলি এবং ইন্ডিয়া, পাকিস্তান অ্যান্ড সাউথ এশিয়া কাউন্সিল অন ফরেইন রিলেশনসের সিনিয়র ফেলো অ্যালিসা আইরেস।

হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের এশিয়ান স্টাডিজ সেন্টারের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো লিসা কার্টিস বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ইসলামী জঙ্গিরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে উল্টে দিতে পারে। তাছাড়া রাজনৈতিক সহিংসতা ও দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক অচলাবস্থা ২০০৭ সালের মতো আবারও বাংলাদেশকে সামরিক হস্তক্ষেপের পথে নিয়ে যেতে পারে।

বিরোধী দলের যে 'হাজার হাজার' রাজনৈতিক কর্মী কারাগারে আছে, তাদের ছেড়ে দিতে অথবা সুষ্ঠু আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের বিচার শুরু করতে বাংলাদেশ সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ দেওয়া 'উচিৎ' বলেও মত প্রকাশ করেন কার্টিস।

ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার জন্য বেশ কিছু বিষয় জরুরি।

জঙ্গিবাদের বিস্তার ঠেকানোর স্বার্থে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ দেওয়া উচিৎ বলে মত প্রকাশ করেন হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের জে কানসারা।

শুনানিতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি'র কয়েকজন নেতা ছাড়াও ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

http://www.banglatribune.com/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B8

__._,_.___

No comments:

Post a Comment